বরিশাল প্রতিনিধি:
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবাদেুল কাদের বলেছেন, বহিরাগত খারাপ লোক দলে এসে সব উন্নয়ন, অর্জন উইপোকার মতো খেয়ে ফেলছে। এরা শীতের পাখির মতো আসে, খেয়ে-দেয়ে আবার চলে যায়। এদের আওয়ামী লীগে দরকার নেই।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে বঙ্গবন্ধু উদ্যানে বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এখনো চক্রা’ন্ত চলছে, সরকার উৎ’খাতের পাঁয়তারা চলছে। দেশকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে। আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হলে ত্যাগী নেতাদের বাঁচাতে হবে। আর এজন্য শেখ হাসিনার সরকারকে বারবার ক্ষমতায় দরকার। চাঁদা’বাজ, টেন্ডারবাজদের দলে দরকার নেই। শীতের অতিথি ও মৌসুমী পাখিদের দরকার নেই।
সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা আমীর হোসেন আমু, আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ, গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বক্তব্য রাখেন। এতে সভাপতিত্ব করেন বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলাল।
আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের প্রায় ১৫ হাজার নেতা-কর্মী সম্মেলনে অংশ নেন।
‘নানা খাতে বিনিয়োগের আগ্রহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের’
বাংলাদেশের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর ব্যবসা বেড়েছে। অনেক দেশ বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চায়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর হাইকমিশনারদের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে জানাতে ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান তপনকান্তি বোস এ কথা বলেন।
কমিশন চেয়ারম্যান বলেন, আজকে (রোববার, ৮ ডিসেম্বর) মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে উভয়পক্ষের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। জিএসপি সুবিধা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। যে সব দেশে জিএসপি সুবিধা নেই, সে সব সমস্যা ভবিষ্যতে থাকবে না।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী জরুরি কাজে ব্যস্ত থাকায় বৈঠকের বিষয়ে ব্রিফিং করেন ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান তপনকান্তি বোস।
কমিশন চেয়ারম্যান বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের কথা বলেছেন। বিমানবন্দরের সুযোগ সুবিধা বাড়ানোর দাবির পাশাপাশি হাইকমিশনাররা যেসব অসুবিধার কথা বলেছেন, সেগুলো সমাধান করতে সরকার বদ্ধপরিকর।
তপন কান্তি বলেন, আজকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রতিনিধিদের সঙ্গে ৬ নম্বর বিজনেস ডায়ালগ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর আগে বিভিন্ন বিষয়ে ৫টি ডায়ালগ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজকের বৈঠকে গার্মেন্ট খাতসহ অন্যান্য খাতেও বিনিয়োগের কথা উঠে আসে।
পাশাপাশি শ্রম আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধন ও আইন কার্যকর করার দাবি জানান কূটনীতিকরা।