সময় এখন ডেস্ক:
পুত্র ড. অভিজিৎ রায় জ’ঙ্গি হাম’লায় নিহ’ত হওয়ার পর ভেঙে গিয়েছিল মন, সেই শোক সইতে না পেরে স্ত্রীও গত হয়েছিলেন বছর খানেক আগে; অভিজিৎ রায় হ’ত্যার বিচার শেষ হওয়ার আগেই এবার চির বিদায় নিলেন তার বাবা বিশিষ্ট পদার্থবিদ ও বীর মুক্তিযো’দ্ধা অধ্যাপক ড. অজয় রায়।
আজ সোমবার, ৯ ডিসেম্বর বেলা সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর বারডেম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃ’ত্যু হয় বলে হাসপাতালের পরিচালক শহীদুল হক মল্লিক জানান।
শিক্ষা আন্দোলনের অগ্রপথিক, পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষক, মুক্তিযো’দ্ধা ড. অজয় রায়ের বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।
জ্বর ও শ্বাসক’ষ্ট নিয়ে গত ২৫ নভেম্বর থেকে বারডেম হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন অধ্যাপক অজয় রায়। ধীরে ধীরে শ্বাসক’ষ্ট বাড়লে ২ দিন পর থেকে তাকে কৃত্রিম শ্বাস দেওয়া হচ্ছিল।
শিক্ষা আন্দোলন মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক অজয় রায় একাত্তরের ঘা’তক দালাল নি’র্মূল কমিটির প্রতিষ্ঠাতাদের একজন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগ থেকে অবসরে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির ইউজিসি অধ্যাপক ছিলেন অজয় রায়। একুশে পদকপ্রাপ্ত এই পদার্থবিদের দুটি গবেষণা নোবেল কমিটিতে আলোচিত হয়।
মুক্তিযো’দ্ধা অজয় রায়ের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল ভাষা আন্দোলন ও ৬৯-এর গণঅভ্যু’ত্থানেও।
২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি একুশের বইমেলা থেকে বেরিয়ে হ’ত্যাকাণ্ডের শি’কার হন অজয় রায়ের বড় ছেলে প্রবাসী লেখক ও গবেষক ড. অভিজিৎ রায়। সেদিন উ’গ্রবাদীদের হাম’লার শি’কার হয়ে হাতের আঙুল হারান অভিজিতের স্ত্রী ব্লগার ও লেখক রাফিদা আহমেদ বন্যাও।
অজয় রায়ের অ-সুস্থতার খবর ফেসবুকে শেয়ার করে সম্প্রতি বন্যা লিখেছিলেন-
কী পূর্ণ এবং স্বার্থক একটা জীবনই না কাটিয়েছেন বাবা। কিন্তু তার পরক্ষণেই মনে হলো গত ৫ বছরে যে কষ্ট পেয়েছেন, সেটাও তো বলার মতো না।
সেই ২০১৫ থেকেই উনি যে ভেঙে পড়তে শুরু করেছেন, সেটা আর ঠিক হয়নি। এই বছরের শুরুতে অভির মা মারা যাওয়ার পর সেই ভেঙে পড়াটা শুধু তরান্বিতই হয়েছে।