সময় এখন ডেস্ক:
দুধ এবং অ্যালকোহল সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ধারণার বাইরে উঠে এসেছে চমকপ্রদ একটি তথ্য। পেটা (People for the Ethical Treatment of Animals)-র একটি সমীক্ষায় জানা গেছে, দুধ নয়, বরং বিয়ার খাওয়ার স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী।
শারীরিক এবং মানসিক বিকাশের জন্য দুধের জুড়ি মেলা ভার। দুধের এই উপকারিতা দেখেই অধিকাংশ পরিবারে দিনে ১ বা ২ গ্লাস করে দুধ খাওয়ার চল আছে।
কিন্তু সম্প্রতি পেটা তাদের এক সমীক্ষায় জানাচ্ছে, দুধের চেয়ে বিয়ার খাওয়া ভালো। সমীক্ষাটিতে বলা হয়েছে, বিয়ার কেবল হাড়কেই শক্ত করে না বরং এটি খেলে মানুষের আয়ুও বাড়ে। এমনকি পেটা মানুষকে দুধ না খাওয়ারও পরামর্শ দিয়েছে। শুধু এই নয়, দুধ খাওয়ার কয়েকটি ক্ষ’তিকারক দিক নিয়েও আলোচনা করেছে পেটা।
যেখানে বলা হয়েছে, দুধ স্থূ’লতা, ডায়াবেটিস এবং ক্যান্সারের মতো দুরা’রোগ্য ব্যা’ধিরও কারণও বটে।
হার্ভার্ড স্কুল অব পাবলিক হেলথের একটি রিপোর্টের তথ্য অনুযায়ী, পেটা এমনটা দাবি করেছে। পেটার এই দাবিতে নিরামিষভোজি মানুষরাও সমানভাবে উপকৃত হবেন কিনা সেই বিষয়ে দেখা হচ্ছে। যদিও এই কথা প্রকাশ্যে আসতেই ইতিমধ্যে অনেক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
বিয়ারকে কোলেস্টেরলযুক্ত বেভারেজ বলে মানা হয়। এটি বানাতে যেসব উপকরণ ব্যবহৃত হয় তার মধ্যে অনেক পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে। বিয়ার বানাতে গম, ভুট্টা, যব এবং চাল ব্যবহার করা হয়। শুধু তাই নয়, বিয়ারে ৯০ শতাংশ পানি ছাড়াও ফাইবার, ক্যালশিয়াম, আয়রনসহ শরীরে পুষ্টি যোগায় এমন অনেক পুষ্টি উপাদান থাকে।
বিয়ার মানুষের হাড়কেও মজবুত করে। শরীরের মাংসপেশির বিকাশের জন্যও বিয়ারকে যথেষ্ট উপকারী হিসেবে গণ্য করা হয়। যেখানে দুধ খেলে নানাবিধ রোগ, যেমন- হৃদরোগ, স্থূ’লতা, ক্যান্সার ও ডায়াবেটিস হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা থাকে।
পেটা আরো বলেছে, বিয়ার দুধের থেকে অধিক উপকারী হলেও এটি একটি অ্যালকোহলযুক্ত পানীয়। প্রয়োজনের অতিরিক্ত বিয়ার খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষ’তিকারক।
264