ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:
স্বাস্থ্য কর্মকর্তার চেয়ারে পাশেই লাল রঙের চেয়ারে লেখা ‘বীর মুক্তিযো’দ্ধা’। চেয়ারটি মহান মুক্তিযু’দ্ধে বীর সেনানীদের জন্য সংরক্ষিত। লাল রঙা সেই চেয়ারে বসিয়ে অসুস্থ মুক্তিযো’দ্ধাদের দেন স্বাস্থ্যসেবা।
নিজের প্রতিটি কর্মক্ষেত্রে মুক্তিযো’দ্ধাদের সম্মানে ভিন্নধর্মী এ উদ্যোগ নিয়েছেন সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. সায়েমুল হুদা। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বিটিভিশারা গ্রামে বীর মুক্তিযো’দ্ধা প্রয়াত সামসুল হুদার ছেলে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সায়েমুল হুদা ইতোপূর্বে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেছেন। বর্তমানে তিনি সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত আছেন।
বয়সে তরুণ চিকিৎসক সায়েমুল হুদা যেখানে পদায়ন হন, সেখানেই মুক্তিযো’দ্ধাদের জন্য তার পাশে বিশেষ লাল চেয়ারের ব্যবস্থা করেন। সায়েমুল হুদার লাল চেয়ারের সম্মান পেয়ে খুশি মুক্তিযো’দ্ধারা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ডা. মো. সায়েমুল হুদা বলেন, মুক্তিযো’দ্ধাদের জন্যই আমরা আজ স্বাধীন। তাদের প্রতি সন্মান জানাতেই আমার এই লাল চেয়ার। আমি চাই দেশের প্রতিটি হাসপাতালে মুক্তিযো’দ্ধাদের জন্য একটি চেয়ার সংরক্ষিত থাকুক। এতে করে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের সন্মান জানানো হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ক্যাম্প-পালানো ৯ রোহিঙ্গা আটক
কক্সবাজারের ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যাওয়া ৯ রোহিঙ্গাকে আটক করেছে পুলিশ।
আটককৃতরা হল- সৈয়দ আলম (৩০), মো. ইউনুছ (১৮), আমেনা খাতুন (৫০), মাজেদা খাতুন (২৫), ছেনরা খাতুন (২২), ময়ূরা বেগম (৬), আয়েশা বিবি (৩), জান্নাত (৫) ও আজিজুর রহমান (১)।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে ৩টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনের সামনে থেকে তাদের আটক করা হয়।
আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রসুল আহমদ নিজামী এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, এক রোহিঙ্গা নাগরিকের মাধ্যমে কক্সবাজারের কুতুপালং রেহিঙ্গা ক্যাম্প ও চট্টগ্রাম থেকে আসা ৯ জন রোহিঙ্গা পুরুষ, নারী ও শিশু মঙ্গলবার রাতে অ’বৈধভাবে আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু সীমান্ত এলাকায় গিয়ে সুবিধা করতে না পেরে তারা ফের আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশনের দিকে যাচ্ছিল।
তিনি আরও জানান, তখন স্টেশন এলাকায় চেকপোস্টে থাকা পুলিশ সদস্যরা তাদের জিজ্ঞাসা’বাদ করে নিশ্চিত হয় সবাই রোহিঙ্গা। এরপর তাদেরকে থানায় নিয়ে আসা হয়। এ ঘটনায় থানায় কোনো মামলা হয়নি। তাদেরকে আবারও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ফেরত পাঠানো হবে।
2.7K