বিশেষ প্রতিবেদন:
গতকাল লন্ডনে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নাতনি টিউলিপ সিদ্দিকি বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। এর ফলে টানা ৩য় বারের মত এমপি নির্বাচিত হলেন শেখ রেহানার মেয়ে। যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির পক্ষে উত্তর লন্ডনের হাম্পস্টিড অ্যান্ড কিলবার্ন আসন থেকে ফের নির্বাচিত হয়েছেন টিউলিপ।
টিউলিপ সিদ্দিকিকে হারাতে এবার ম’রিয়া হয়ে মাঠে নেমেছিলেন তারেক জিয়া এবং তার নেতৃত্বে বিএনপির একটি অংশ। তারা বিভিন্ন প্রকার অপ-প্রচার এবং ষড়’যন্ত্রের আশ্রয় নিয়েছিল। বিভিন্ন গণমাধ্যমে তারা টিউলিপের বিরু’দ্ধে প্রচারণায় অঢেল টাকাও খরচ করেছিল।
কিন্তু সবকিছু ভে’স্তে গেল, এই সমস্ত ষড়’যন্ত্র উ’পেক্ষা করে টানা ৩য় জয় পেলেন টিউলিপ রেজওয়ানা সিদ্দিকি। বলা হচ্ছে এটা তারেকের আরেকটি পরাজয়। এর ফলে লন্ডনে তারেকের অবস্থান আরো নড়বড়ে হয়ে গেল। কারণ লন্ডনে আওয়ামী লীগ বা বিএনপি যারাই করুক না কেন যখন কোন বাঙালি পার্লামেন্ট বা অন্য কোন স্থানীয় নির্বাচনে প্রার্থী হয় তখন দলমত নির্বিশেষে সেই বাঙালির পক্ষে যান বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিকরা।
কিন্তু তারেক জিয়া লন্ডনে যাওয়ার পরেই এই পরিস্থিতি পাল্টাতে শুরু করে। তারেক জিয়া বঙ্গবন্ধু পরিবারের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত ষড়’যন্ত্রের আশ্রয় নেন যা ব্রিটেনে বাঙালি বংশোদ্ভূতদের মধ্যে বিভা’জনের রাজনীতি তৈরী করেছে।
এই নির্বাচনের পর বিএনপির নেতৃবৃন্দই বলছে এটা একটা নোংরা রাজনীতির অংশ। যে রাজনীতি তারেক শুরু করেছেন। নোংরা রাজনীতি কখনো ভালো ফল দেয় না। বিএনপির অনেকেই অবশ্য তারেকের অগোচরে টিউলিপ রেজওয়ানা সিদ্দিকির পক্ষে প্রচার করেছিলেন।
শুক্রবার পাওয়া ফলাফলে দেখা যায়, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে প্রায় ১৩ হাজারেরও বেশি ভোটের ব্যবধানে জয় পেয়েছেন টিউলিপ সিদ্দিক।
নির্বাচনের প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, টিউলিপ সিদ্দিক ২৮ হাজার ৮০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ পার্টির জনি লুক পেয়েছেন ১৩ হাজার ৮৯২ ভোট।
ব্রিটেনের হ্যাম্পস্টেড ও কিলবার্ন আসন থেকে ২০১০ সালে টিউলিপ প্রথম কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। ২০১৫ ও ২০১৭ সালে এ আসন থেকে লেবার পার্টির হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।
২০১৫ সালে ব্রিটিশ সংসদ সদস্য হিসেবে লেবার পার্টির ছায়া মন্ত্রিসভায় সংস্কৃতি, মিডিয়া ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী মনোনীত হয়েছিলেন টিউলিপ। ২০১৭ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিককে চাইল্ড কেয়ার এবং আর্লি এডুকেশন অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ (এপিপিজি) নিযুক্ত করা হয়।
২০১৫ সালে ওয়েস্টমিনিস্টারে ১০ ভালো বক্তার তালিকায় প্রথম কোনো বাঙালি এমপি হিসেবে জায়গা করে নেন তিনি।
1.9K