নরসিংদী প্রতিনিধি:
৯৯ জন মুক্তিযো’দ্ধার রত্মগর্ভা মাকে সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে কান্নায় ভেঙে পড়লেন নরসিংদীর জেলা প্রশাসক (ডিসি) সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন। তার এ কান্নার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
আজ শুক্রবার নরসিংদীর জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত ৯৯ মুক্তিযো’দ্ধার রত্নগর্ভা মাকে গণসংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন ডিসি।
বক্তব্য দিতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন বলেন, জাতির শ্রেষ্ঠ রত্নগর্ভা মায়েদের যথাযথ সম্মান জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই। তবে এ দেশের প্রতি ইঞ্চি মাটি, তরুলতা, পাখি, ফুল, নদী জানে, তাদের প্রতি আমাদের ঋ’ণ। কৃতজ্ঞচিত্তে বীর জননীদের স্মরণ ও শহীদ মুক্তিযো’দ্ধাদের প্রতি রইলো স্বশ্রদ্ধ সালাম।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে ডিসি বলেন, আমার দাদির ৩ ছেলে মুক্তিযু’দ্ধে অংশগ্রহণ করেন। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের সৌভাগ্য হলো না আমার দাদিকে একটু সম্মান দেওয়ার। আমি আজ রত্মগর্ভা মায়েদের সংবর্ধনা দিয়ে নিজেকে গর্ববোধ করছি।
জেলা প্রশাসক (ডিসি) সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন আরও বলেন, আমরা যে যে অবস্থানে আছি, আমাদের সবারই উচিৎ মুক্তিযো’দ্ধাদেরকে যথোপযুক্ত সন্মান দেয়া। তাদের মনে কষ্ট হয়, এমন আচরণ যেন না করি আমরা। তারা অনেক দিয়েছেন, এখন আমাদের পালা তাদেরকে কিছু দেবার।
জেলা প্রশাসন ও মুক্তিযো’দ্ধা সংসদ জেলা ইউনিট কমান্ডের উদ্যোগে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্বে করেন সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা এএইচ এম জামেরি হাসান।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- নরসিংদী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মতিন ভূঁইয়া, ৭১’র মুক্তিযু’দ্ধ সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম নরসিংদী শাখার সভাপতি আবদুল মোতালিব পাঠান, রায়পুরা উপজেলা মুক্তিযো’দ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মো. নজরুল ইসলাম, ডিডিএলজি মাহবুব উল করিম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইমরুল কায়েস, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) কমল কুমার ঘোষ প্রমুখ।
সংবর্ধনা প্রদানের আগে মুক্তিযো’দ্ধাগণের প্রত্যেক রত্নগর্ভা মায়েদের ফুল ও উত্তরীয় দিয়ে সম্মান প্রদর্শন করা হয়। এ ছাড়া তাদের প্রত্যেককে একটি করে শাড়ি, কম্বল ও চাদর উপহার দেওয়া হয়।
১ Comment
মুক্তি যোদ্ধাদের মূল্যায়ন যারা করেন তারা মানবতার প্রতীক। যারা ঘৃণা করেন তারা চির অন্ধ।২০০৬ সনে চুয়াডাংগা জেলায় একজন মানবতার ডিসি দেখেছি।তিনি অফিস আদেশ জারী করেছিলেন যে,তার জেলায় কোন অফিসে কোন মুক্তিযোদ্ধা আসলে তাকে অফিসার দাড়িঁয়ে সম্মান জানাবে।
এখনও অনেক বড় বড় অফিসার আছেন তারা তাদের মূল্যায়ন করতে চাননা,এড়িয়ে চলেন। অনুষ্ঠানে যান চাকুরী বাঁচানোর জন্য। তাদের বুঝা উচিত যে,দেশ স্বাধীন না হলে তারা অনেকেই ঐ চেয়ার পেতেননা,এমনকি প্রাইমারী শিক্ষকও না।
জেলা প্রশাসক,নরসিংদীকে আমি শ্রদ্ধা জানাই।
আলহাজ্জ মো: আকবর হোসাইন বীর মুক্তিযোদ্ধা