আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
রাষ্ট্রদ্রো’হের মামলায় পাকিস্থানের সাবেক সামরিক শাসক পারভেজ মোশাররফকে মৃ’ত্যুদ’ণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে পেশোয়ারের বিশেষ আদালতের ৩ সদস্যের বেঞ্চ এ রায় দেন।
বিচারকদের এই প্যানেলে ছিলেন পেশওয়ার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ওয়াকার শেঠ, সিন্ধ হাইকোর্টের বিচারপতি নজর আকবর এবং লাহোর হাইকোর্টের বিচারপতি শহীদ করিম।
পাকিস্থানের সাবেক এই সেনাপ্রধান ২০১৬ সালের মার্চে চিকিৎসার জন্য দুবাই যান। পরবর্তীতে ব্যক্তিগত সুরক্ষা এবং স্বাস্থ্যগত কারণ উল্লেখ করে তিনি আর দেশে ফেরেননি।
২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত পাকিস্থানের প্রেসিডেন্ট ছিলেন পারভেজ মোশাররফ। ২০০৭ সালে বে-আইনিভাবে সংবিধান বাতিল ও জরুরি অবস্থা জারির দায়ে ২০১৪ সালের মার্চে অভিযুক্ত হন মোশাররফ।
দেশটির ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল পাকিস্থান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সরকারের পক্ষে আইনজীবী আলী জিয়া বাজওয়া সাবেক এই সামরিক শাসকের বিরু’দ্ধে অভিযোগ উত্থাপনের জন্য আদালতের কাছে আবেদন করেছিলেন। আদালত অভিযোগ আমলে নেন। ওই মামলায় আজ তাকে মৃ’ত্যুদ’ণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এই রায়ের প্রতিক্রিয়ায় পারভেজ মোশাররফ বলেছেন, আমি ভিক্টিম (ভিক্টিমাইজ) হয়েছি। আদালতের প্রতি আস্থাহীনতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, রায় এখনও পুরোপুরি শুনিনি। তবে আমি যে ন্যায়বিচার পাব না, সেটি আগে থেকেই জানতাম।
পাকিস্থানের আদালত যখন সাবেক রাষ্ট্রপ্রধানের বিরু’দ্ধে মৃ’ত্যুদ’ণ্ডের রায় ঘোষণা করে, তখন হাসপাতালের বিছানায় পারভেজ মোশাররফ। সেখান থেকে এক ভিডিওবার্তায় মোশাররফ বলেন, এই রাষ্ট্রদ্রো’হ মামলা একেবারেই ভিত্তি-হীন।
পারভেজ মোশাররফ বলেন, আমি ১০ বছর পাকিস্থানকে নেতৃত্ব দিয়েছি। আমি আমার দেশের জন্য লড়েছি। রাষ্ট্রদ্রো’হের যে মামলা আমার বিরু’দ্ধে দেয়া হয়েছে তাতে আমি ভিক্টিম। আমার প্রতি অ’ন্যায় করা হয়েছে।
২০১৪ সালের ৩১ মার্চ মোশাররফকে অভিযুক্ত করা হয়। ওই বছরের সেপ্টেম্বরে বিশেষ আদালতের কাছে বিচারের জন্য সব তথ্য প্রমাণ পেশ করা হয়। তবে আপিল ফোরামে মামলাটি তোলার পর বিচারকাজ দীর্ঘায়িত হয়ে পড়ে এবং মোশাররফ ২০১৬ সালের মার্চে পাকিস্থান ছেড়ে চলে যান। চিকিৎসার উদ্দেশ্যে তাকে দেশছাড়ার অনুমতি দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, জেনারেল পারভেজ মোশাররফ সামরিক ক্যু’র মাধ্যমে ১৯৯৯ সালে ক্ষমতা দখ’ল করেন এবং ২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত দেশটির প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
130