সময় এখন ডেস্ক:
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, রাস্তার ধুলাবালি পরিষ্কার করতে আনা হচ্ছে আধুনিক, সময় সাশ্রয়ী ও কার্যক্ষম যন্ত্রপাতি ও গাড়ি।
তিনি বলেন, নগরীতে ধুলাবালির বর্তমান অবস্থায় আমরা উ’দ্বিগ্ন। বিশ্বের সব দেশেই নির্মাণ কাজ হয়, কিন্তু বাংলাদেশের মতো এমন অবস্থা থাকে না। এ ব্যাপারে সবাইকে সচেতন হতে হবে। ধুলাবালি পরিষ্কার করার জন্য আধুনিক গাড়ি ও যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করতে সিটি কর্পোরেশনসমূহকে মন্ত্রণালয় সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ধুলাবালিমুক্ত পরিচ্ছন্ন ঢাকা মহানগরী গড়া সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
মন্ত্রী এ সময় পরিবেশ দূষণ রোধে বিভিন্ন বিষয় পর্যবেক্ষণ ও করণীয় নির্ধারণে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (নগর উন্নয়ন)- কে প্রধান করে একটি কমিটি করার নির্দেশ দেন। এই কমিটি সিটি কর্পোরেশনকে পরিষ্কার রাখার জন্য যে সব লজিস্টিক সাপোর্ট দরকার হবে, যেমন সুইপিং মেশিনসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি, আমাদের চেয়ে এগিয়ে থাকা দেশগুলো কী কী পদ্ধতিতে কাজ করে সে সম্পর্কে তথ্য নিবে। সেসব তথ্য পর্যালোচনা করে সেখানে কী কী যন্ত্রপাতি লাগবে, কী কী লোকবল লাগবে, কখন করবে- এসব বিষয়ে সুপারিশ করবে কমিটি।
সভায় অন্যান্যের মধ্য ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, ঢাকা ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খান, ঢাকা দক্ষিন ও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
ভালোবাসার দিন শেষ, এখন শুধু জরি’মানা করব: মেয়র
আগামী ২০ ডিসেম্বর থেকে রাজধানীর পরিবেশ দূষণ করে যারা সড়কে ইট, বালু, পাথর, সিমেন্ট রাখবেন তাদের বিরু’দ্ধে অভিযান শুরু হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।
তিনি বলেছেন, পরিবেশ দূষণ করে যারা ব্যবসা পরিচালনা করবেন তাদের বলতে চাই-শুধু বক্তব্য দেওয়া ও ভালোবাসার দিন শেষ। এখন থেকে পরিবেশ দূষণকারীদের শুধু জরি’মানা করা হবে।
