সময় এখন ডেস্ক:
রাজধানীতে সূর্যের দেখা মিলছে না গত ২ দিন ধরে। হঠাৎ চলে আসা এই ঠাণ্ডা অনুভূতিতে মানিয়ে নিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে নগরবাসীকে।
এমন অবস্থা আরও দু’দিন থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এবং স্থান ভেদে ২১ ও ২২ ডিসেম্বরের দিকে ঠাণ্ডা অনুভূতি কমে আসবে বলেও জানিয়েছে তারা।
এদিকে ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ আসতে পারে নিম্নচাপ। সে সময় মাঝারী ধরণের শৈত্যপ্রবাহের মধ্য দিয়ে যেতে হতে পারে দেশবাসীকে। শৈত্যপ্রবাহে তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে আরও জানা যায়, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বর্তমানে হিমালয়ের পাদদেশিয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। আর মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ অবস্থান করছে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে।
তাই বৃহস্পতিবারসহ আরও ২ দিন অ’স্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। আর মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে মাঝারী ধরণের ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারী ধরণের কুয়াশা পড়তে পারে।
এদিকে, প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় কাহিল হয়ে পড়েছে দেশের উত্তরাঞ্চল। ধীরে ধীরে কমছে তাপমাত্রা। সাথে কনকনে হিমেল হাওয়া। ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে চারপাশ।
ডিসেম্বরের মাঝামাঝি এসে পুরো উত্তরাঞ্চলজুড়েই এখন শীতের দাপট। গত কয়েকদিন এমনই আবহাওয়া বিরাজ করছে কুড়িগ্রামে। দেশের সবচেয়ে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে শীতের তীব্রতা বাড়িয়েছে ঝিরঝিরে বৃষ্টি।
গত দুদিন ধরে রংপুর অঞ্চলে শীতের প্র’কোপ বেড়েছে। এতে চরম দু’র্ভোগে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। বিশেষ করে তিস্তার চরাঞ্চলের অভাবী মানুষের শীত নিবারণে অগ্নিকুণ্ডই একমাত্র ভরসা হয়ে।
শীত জেঁকে বসায় রংপুরের ৫টি জেলায় প্রায় ১২ লাখ মানুষ এর শি’কার। দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী এসব মানুষের অধিকাংশই ভাসমান-যাদের কোনো শীতবস্ত্র নেই।
সরকারি এক পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, প্রায় ১ যুগ আগে উত্তর জনপদের বিভিন্ন এলাকায় ভূমিহীন ও অতি-দরিদ্র পরিবারের যে জরিপ চালানো হয় তাতে দেখা গেছে, খুব শীতের সময় ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি পরিবারের দিনে গড় আয় ২৫ টাকা।
এ কারণে দারিদ্র্য-সীমার নিচে বসবাসকারী এসব পরিবারের লোকজনের পক্ষে কোনোভাবেই নিত্যদিনের খাবার যোগানোর পর শীতবস্ত্র কেনার সামর্থ্য থাকে না।
তাই তারা শীত নিবারনের জন্য চট, ছালা, খড়ের লেপ ব্যবহারসহ সারারাত ধরে অগ্নিকুণ্ড ব্যবহার করছে। একদিকে প্রচণ্ড শীত, অন্যদিকে কনকনে বাতাসে শীতের তীব্রতা বহু গুণে বাড়িয়ে দিয়েছে।
463