শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারের বড়লেখা থেকে বাক্সবন্দী করে শ্রীমঙ্গলে আনা হয়েছে প্রায় ৫০টি কবুতর। প্রায় ৮২ কিলোমিটার দূর থেকে বাক্সব’ন্দী এসব কবুতর ছেড়ে দেওয়া হলো মুক্ত আকাশে। ছাড়া পেয়ে আকাশে বেশ কয়েকবার ঘূর্ণিপাক খেয়ে কবুতরগুলো দল বেঁধে ও দলের বাইরে রওনা দেয় বড়লেখার উদ্দেশে। সেখানে তাদের মালিকেরা অপেক্ষায় আছেন, কখন কবুতরগুলো ফিরবে। যার কবুতরগুলো আগে পৌঁছাবে তিনিই বিজয়ী।
আজ শনিবার সকালে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের ভিক্টোরিয়া মাঠে কবুতরের দৌড় প্রতিযোগিতার ফাইনালে এমনটাই দেখা যায়।
প্রতিযোগিতার ফাইনাল রাউন্ডে উপস্থিত ছিলেন- বড়লেখা পিজিয়ন অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা মো. বদরুল ইসলাম, বড়লেখা পিজিয়ন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. জাবেদ আহমদ, উপদেষ্টা জাকির মোহাম্মদ।
তারা ৩ জন এই প্রতিযোগিতার বিচারকের দায়িত্ব পালন করছেন। বিচারক ছাড়াও ফাইনাল রাউন্ডে উপস্থিত ছিলেন শ্রীমঙ্গল রেসিং পিজিয়ন ক্লাবের সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক নাইম আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আজহারুল ইসলাম প্রমুখ। ফাইনাল রাউন্ডে কামরুল ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন, মাসুম আহমদ, আবদুল আহাদ, ইউনুস আহমেদ ও মোনায়েম খান মুন্নার ৫০টি কবুতর অংশ নেয়।
কবুতরগুলোর পায়ে একটি নম্বর দেওয়া আছে। সেটা দেখেই ঠিক করা হবে বিজয়ী।
বড়লেখা পিজিয়ন অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা ও এই প্রতিযোগিতার বিচারক মো. বদরুল ইসলাম বলেন, গত ২১ নভেম্বর এই কবুতরের রেসিং প্রতিযোগিতা শুরু হয়। এরপর বিভিন্ন রাউন্ড ঘুরে আজ ফাইনাল রাউন্ড অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই প্রতিযোগিতায় অনেক কবুতরপ্রেমী অংশ নিয়েছেন।
বদরুল বলেন, প্রতিযোগিতাটি মূলত শখের বশে করা। আমাদের এই প্রতিযোগিতা থেকে তরুণেরা কবুতর পালনে উৎসাহিত হবে। এতে করে লেখাপড়ার পাশাপাশি তরুণেরা কবুতর লালন-পালন করে সেগুলো বিক্রি করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বীও হতে পারে। এসব কাজের সঙ্গে মিশে থাকলে মাদক থেকে তারা দূরে থাকবে বলে আমরা মনে করি।
আয়োজকদের কথা, এই প্রতিযোগিতার বিজয়ী নির্ধারণ করা একটু জটিল সময়ের ব্যাপার। তাই ফলাফল নির্ধারণ করতে সময় লাগবে ২ দিন। কারণ কবুতরের মালিকদের একেকজনের ৫ থেকে ১০টা করে কবুতর আছে। কোনো নির্দিষ্ট একটি স্থানে এগুলো যাবে না। যাবে মালিকদের বাড়িতে। তাই ২/১ দিন সময় লেগে যেতে পারে।
কবুতরগুলো আজ সকাল ১০টায় শ্রীমঙ্গল থেকে ছাড়া হয়েছে।