যেভাবে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে থাকেন প্রধানমন্ত্রী…

0

ফিচার ডেস্ক:

ঘড়িতে এলার্ম বাজতে থাকলেও আমরা বন্ধ করে দিয়ে আরেকটুখানি বিছানায় গড়াগড়ি করি। কিন্তু ততক্ষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রায় ২৫ ভাগ কাজ শেষ হয়ে যায়। আমরা ঘুমকাতুরে হয়ে আলস্য উপভোগ করি, তখন আমাদের প্রধানমন্ত্রীর কর্মব্যস্ততা শুরু হয়ে যায়।

আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রীর একটা সকাল কেমন কাটে? এটা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর সকাল শুরু হয় খুব ভোরে। শুধু ভোর নয়, বলা যায় ফজরের নামাযের দেড় থেকে দুই ঘন্টা আগেই তিনি ঘুম থেকে উঠে যান। তিনি তাহাজ্জুদের নামায পড়েন। তারপর কোরআন তেলওয়াত করেন, ফজরের নামায পড়ে লনে একটু হাঁটাচলা করেন। সারাদিনের পরিকল্পনা, সারাদিনের রাজনৈতিক চিন্তা, কাজের বিন্যাস তখনই তিনি সেরে ফেলেন।

এরপর সকালের নাস্তা। আমাদের প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত স্বল্প আহারী। তিনি সকালে নাস্তা খান খুবই সামান্য। সাধারণত বিশেষ দিন ছাড়া তার পাতে জোটে হাতে বানানো রুটি, সবজি বা ভাজি। সঙ্গে হয়তো এককাপ চা আর টোস্ট বিস্কুট।

এরপরে শুরু হয় প্রধানমন্ত্রীর কর্মব্যস্ততা। তার যেন কোন অবসান নেই। প্রতিদিনের পত্রিকা সকালে আমাদের ড্রয়িং রুম বা খাবার টেবিলে যখন আসে, তখন প্রধানমন্ত্রীর পত্রিকাগুলোর সব খবর পড়া শেষ। তারপর বিভিন্ন রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে তাঁর নিজস্ব টিমের রিপোর্ট, বিভিন্ন জরিপ, তথ্য উপাত্ত, সাংগঠনিক বিন্যাস এসব নিয়ে তিনি কাজ করেন, পড়াশোনা করেন। এর ফাঁকে কিছুটা সময় একটু রবীন্দ্রসংগীতের সঙ্গে থাকা।

এরপর শুরু হয় দাপ্তরিক কাজ। হোক তা ছুটির দিন, হোক তা কর্মদিবস। প্রধানমন্ত্রী সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যেই দাপ্তরিক ফাইল নিয়ে বসেন। প্রধানমন্ত্রী হয়তো বাংলাদেশের একমাত্র নীতি নির্ধারক মন্ত্রী যিনি প্রত্যেকটা ফাইল খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়েন। কোন ফাইলে বানান ভুল হলো কোন ফাইল ঠিকমতো লেখা হয়নি। কোন ফাইলে বাক্যগঠন ঠিক হয়নি। কোন কিছুই প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি এড়ায় না। যেভাবে তাঁর দৃষ্টি এড়ায় না এদেশের মানুষের অভাব, অভিযোগ, দুঃখ, কষ্ট।

এই ফাইলগুলো দেখা শেষে শুরু হয় অন্য ব্যস্ততা। যেদিন কর্মদিবস থাকে, সেদিন প্রধানমন্ত্রী ছুটে যান বিভিন্ন অনুষ্ঠান উদ্বোধন করতে বা যেকোন নীতি নির্ধারণী বক্তব্য দিতে। যে কোনো উন্নয়ন কার্যক্রম উদ্বোধন করা বা ব্যাক্তিগত কোন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যোগদান করেন তিনি। এভাবে তাঁর যখন ২৫ ভাগ কাজ শেষ, তখন অন্যদের দিন শুরু হয়। এজন্যই প্রধানমন্ত্রীর কট্টর সমলোচকরাও বলেন, অত্যন্ত পরিশ্রম করেন বলেই প্রধানমন্ত্রী রাজনীতিতে সবার চেয়ে এগিয়ে আছেন। কারণ প্রধানমন্ত্রী যে পরিমাণ কাজ সকালে সেরে ফেলেন, অনেক মন্ত্রী এমপি সারাদিনেও হয়তো সে পরিমাণ কাজ করতে পারেন না।

প্রধানমন্ত্রীর একসময়ের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বেগম খালেদা জিয়া। বিএনপি নেতারাই আক্ষেপ করে বলতেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে খালেদা জিয়ার পার্থক্য হলো, খালেদা জিয়া সব সময় অর্ধেকদিন পিছিয়ে থাকেন শেখ হাসিনার থেকে। কারণ শেখ হাসিনা যখন দিনের অর্ধেক কাজ সকাল ৯টার মধ্যে শেষ করেন, তখনও খালেদা জিয়া ঘুমিয়ে থাকেন। শেখ হাসিনা যখন দিনের ৭৫ ভাগ কাজ শেষ করেন, তখন খালেদা জিয়ার দিন শুরু হয়। এরকম পরিশ্রমের ফলেই হয়তো বাংলাদেশের মানুষের দিনগুলো সুন্দর হয়ে ওঠে। বাংলাদেশ আনন্দমুখর হয়ে উঠছে প্রতিদিন। বাংলাদেশের মানুষের উন্নয়ন এবং অগ্রগতির চাকা ঘুরছে তীব্র গতিতে।

শেয়ার করুন !
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

এই ওয়েবসাইটের যাবতীয় লেখার বিষয়বস্তু, মতামত কিংবা মন্তব্য– লেখকের একান্তই নিজস্ব। somoyekhon.net-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এর মিল আছে, এমন সিদ্ধান্তে আসার কোনো যৌক্তিকতাই নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে somoyekhon.net আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো প্রকার দায় বহন করে না।

Leave A Reply

error: Content is protected !!