গাজীপুর প্রতিনিধি:
গাজীপুরের কাপাসিয়ায় কাশবন ও টং দোকানে অভিযান চালিয়ে ২১ কিশোর-কিশোরীকে আটক করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার (১২ অক্টোবর) বিকেলে তাদের আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৫ কিশোরকে ৯ হাজার ৪০০ টাকা জরি’মানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আর এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র সমালোচনা করেছেন সাধারণ মানুষ।
গতকাল ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোসা. ইসমত আরা। তিনি জানান, ধ* ও যৌ* হয়রা’নি রোধে কাপাসিয়ার বিনোদন কেন্দ্র ও হোটেল-মোটেলে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এ অভিযানের অংশ হিসেবে সোমবার বিকেলে উপজেলা শহরে কয়েকটি দোকান ও কাশবনে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ‘আপ’ত্তিকর’ অবস্থায় ছবি ওঠানো ও আড্ডা দেয়া অবস্থায় ১৫ জন কিশোর ও ৬ জন কিশোরীকে আটক করা হয়েছে।
মোসা. ইসমত আরা আরো জানান, তাৎক্ষণিকভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ১৫ কিশোরকে ৯ হাজার ৪০০ টাকা জরি’মানা এবং কিশোরীদের অভিভাবকদের হাজির করে সতর্ক করার পর মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এ সময় তাদের কাছে থাকা একটি ক্যামেরা সিজ করা হয়েছে।
এ বিষয়টি প্রকাশ্যে আসলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন ইউএনও ইসমত আরা। কিশোর কিশোরীরা কাশবনে ছবি তুলছে, এতে আপত্তির কী থাকতে পারে, এ নিয়েই মূলত সমালোচনা শুরু। ছবি তোলা কি তবে অপরাধের পর্যায়ে পড়ছে? সেখানে তাদেরকে কি অ’প্রীতিকর অবস্থায় পাওয়া গেছে, যে এজন্য আইন প্রয়োগ করতে হবে? আটককৃতদের কেউ কি কোনো ধরণের হয়রা’নির মুখে পড়েছে বলে অভিযোগ করেছে তার কাছে? যদি না করে, তাহলে অবশ্যই এই কিশোরদের জরি’মানা করাটা হয়েছে আইনের অপ’প্রয়োগ।
তবে এসব মন্তব্যের পাশাপাশি উ’গ্র চিন্তাভাবনার মানুষজন ইউএনও’র এমন অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছেন। কিশোর কিশোরীরা কেন কাশবনে গেল, সেখানে যাওয়া তাদের উচিৎ হয়নি, দেশ উচ্ছ’ন্নে গেছে, অভিভাবকদের আরও সচেতন হতে হবে- এমন মরাল পুলিশিং দেখা গেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সেই সাথে কিশোরদের জরি’মানা করা হলেও কিশোরীদের কেন করা হয়নি, এ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কেউ কেউ।