সহযোগিতা করার নামে বিছানায় উঠে যান মামুনুল!

0

বিশেষ প্রতিবেদন:

হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরীর সেক্রেটারি মাওলানা মামুনুল হক তৃতীয় বিয়ের দাবি করেছেন। এবারও স্বামীর সাথে ডিভোর্সের পর অসহায় এক নারীর পাশে দাঁড়াতে গিয়ে তাকে বিয়ে করার দাবি করেছেন তিনি।

গাজীপুরের কাপাসিয়ার বাসিন্দা জান্নাতুল ফেরদৌসের সঙ্গেও এক বছর আগে তার বিয়ে হয়েছে বলে মামুনুল হক ওই নারীর ভাইয়ের কাছে দাবি করেন।

ভাইয়ের নাম শাজাহান সাজু। তাকে শনিবার (১০ এপ্রিল) মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় ডেকে নিয়ে এই তথ্য জানান মামুনুল হক। শাজাহান সাজু নিজেই এই প্রতিবেদকের কাছে বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

জানতে চাইলে শাজাহান সাজু বলেন, মামুনুল সাহেব আমাকে ডেকে নিয়ে আমার বোনকে বিয়ের কথা জানিয়েছেন। ২০২০ সালে তিনি আমার বোনকে বিয়ে করেন বলে জানান। এ সংক্রান্ত একটি স্ট্যাম্প দেখিয়েছেন। তবে এটি কাবিননামা নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তৃতীয় বিয়ের বিষয়ের মন্তব্য জানতে একাধিকবার মামুনুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তার মন্তব্য জানা যায়নি। মোবাইলে ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হলে তিনি রিপোর্টের বিষয় জানতে চান। তৃতীয় বিয়ের বিষয়ে লিখে পাঠানোর পর তিনি আর কোনও মন্তব্য করেননি।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্র জানায়, ২০১৩ সালে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে মাস্টার্স করার সময় এই নারীর সঙ্গে পরিচয় হয় মামুনুল হকের। ওই পরিচয়ের সূত্রে তাদের মধ্যে কথাবার্তা হতো। আড়াই বছর আগে ওই নারীর ডিভোর্স হয়।

এরপর ওই নারীকে একটি মহিলা মাদ্রাসায় শিক্ষক হিসেবে চাকরি দেন মামুনুল হক। এরপর থেকেই তাদের মধ্যে অ’নৈতিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আগের স্বামীর সঙ্গে ডিভোর্স হওয়ার ক্ষেত্রে মামুনুল হক ভূমিকা রেখেছেন। ওই নারীকে ডিভোর্স করিয়ে কেরানীগঞ্জের একটি বাসায় রাখেন। ওই বাসায় মাঝে মধ্যেই যাতায়াত করতেন মামুনুল হক।

জানা গেছে, মামুনুল হকের রিসোর্টকাণ্ডের পর এই নারীকে মামুনুল হক তার বড় বোন দিলরুবার মোহাম্মদপুরের বাসায় রেখেছেন। ওই ঘটনার পর থেকে বোনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি বলে জানান আত্মীয়-স্বজনরা।

উল্লেখ্য, গত ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও রয়েল রিসোর্টে জান্নাত আরা ঝর্ণা নামে এক নারীসহ স্থানীয় লোকজনের হাতে আটক হন মামুনুল হক। বিষয়টি নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হলে জান্নাত আরাকে দ্বিতীয় স্ত্রী বলে দাবি করেন।

যদিও এর স্বপক্ষে কোনও নথিপত্র দেখাতে পারেননি তিনি। দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে সমালোচনার মধ্যেই মামুনুল হক তৃতীয় বিয়ের দাবি করলেন তিনি।

দেখা যাচ্ছে, যাকেই পছন্দ হয় মামুনুল হকের, তার সাথে সম্পর্ক গড়ার চেষ্টা চালান প্রথমে। যেভাবে ঝর্নার সাথে চেষ্টা করেছিলেন। ঝর্নার পুত্র আব্দুর রহমান জানান, তার ছোটভাইকে দুগ্ধপান করানোর সময় ঝর্নার শয়নকক্ষে ঢুকে পড়েন মামুনুল হক পিতা শহীদুলের অনুপস্থিতিতে। তবে ঝর্না সে সময় তাকে সুযোগ দেননি, স্বামীর প্রতি সৎ থাকার কারণে।

কিন্তু এক পর্যায়ে মামুনুলের ক্রমাগত প্রচেষ্টায় স্বামীর সাথে সম্পর্কে ভাঙন ধরে। পরে ডিভোর্স হয়। আর সে সময় রীতিমত অ’সহায় অবস্থায় পড়ে যাওয়া ঝর্নাকে একটি ম্যাসাজ পার্লারের চাকরি জুটিয়ে দেন মামুনুল হক। কিন্তু বিনিময়ে তাকে সর্বস্ব তুলে দিতে হয় মামুনুলের পাতে। ত্রদের দূরে রাখার শর্তে একটি ফ্ল্যাটে রাখেন দুই বছর। একাকীত্বের পরিপূর্ণ সদ্ব্যাবহার করেন মামুনুল হক।

একই ঘটনা ঘটে জান্নাতুল ফেরদৌসের সাথেও। একইভাবে স্বামীর সাথে সম্পর্কের ভাঙন ধরান তার। তারপর তার অ’সহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে নিজের প্রভাব খাটিয়ে একটি মাদ্রাসায় চাকরি দেন। জান্নাত আরা এবং জান্নাতুল ফেরদৌস- দুই জান্নাতের সাথে একই সময়ে সম্পর্ক চালিয়ে যান আসল স্ত্রী আমিনা তৈয়্যবার অগোচরে।

বিভিন্ন সময় গাজীপুর এবং কেরানীগঞ্জ- দুই জায়গাতেই দুই নারীর সাথে সময় কাটাতেন মামুনুল হক। দুই নারীকে প্রথমে সংসার ভেঙে অ’সহায় করে তোলেন, তারপর তাদের রক্ষাকর্তা সেজে নিজের ভোগের সামগ্রীতে পরিণত করেন মামুনুল হক।

ধর্ম ব্যবসা করতে করতে ক্লান্ত হয়ে গেলে এভাবেই তিনি রিল্যাক্স হন এবং রিক্রিয়েশন চালান।

শেয়ার করুন !
  • 1.3K
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

এই ওয়েবসাইটের যাবতীয় লেখার বিষয়বস্তু, মতামত কিংবা মন্তব্য– লেখকের একান্তই নিজস্ব। somoyekhon.net-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এর মিল আছে, এমন সিদ্ধান্তে আসার কোনো যৌক্তিকতাই নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে somoyekhon.net আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো প্রকার দায় বহন করে না।

Leave A Reply

error: Content is protected !!