লাইফ স্টাইল ডেস্ক:
ঘরের ভেতর গাছ শুধু সৌন্দর্য বাড়ায় না, পাশাপাশি অনেক কাজে আসে। গাছ ঘরের মধ্যে পজেটিভ এনার্জির পাশাপাশি প্রাকৃতিক শুদ্ধতা হিসেবে কাজ করে। আবার কিছু কিছু গাছ আছে যা আপনার বেডরুমে রাখলে রাতে ঘুমাতে সাহায্য করে।
ল্যাভেন্ডার: ল্যাভেন্ডারের সুগন্ধ কার না ভালো লাগে? এই ফুল আপনার দুশ্চিন্তা এবং মানসিক চাপ কমাতে সহায়তা করে, যার কারণে ঘুমও ভালো হয়। গবেষণায় জানা গেছে এই গাছ বাচ্চাদের গভীর ঘুমে সহায়তা করে এবং সন্তানসম্ভাব্য মায়েরও মানসিক চাল কমায়।
জেসমিন: জেসমিনের গন্ধ শরীরে এক ধরনের প্রশান্তি বয়ে নিয়ে আসে, যা মানসিক চাপ এবং ক্লান্তি দূর করতে সহায়তা করে।
স্নেক প্ল্যান্ট: স্নেক প্ল্যান্ট ঘরের বাতাসকে ছাঁকতে পারে, ঘরের সৌন্দর্যের পাশাপাশি রাতে প্রচুর পরিমাণে অক্সিজেন নিঃসরণ করে।
স্পাইডার প্ল্যান্ট: স্পাইডার প্লান্ট বাতাসে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী রাসায়নিক পরিষ্কার করে। এই গাছ বাতাসের দুর্গন্ধ দূর করার পাশাপাশি ভালো ঘুমে সহায়তা করে।
এলোভেরা: ত্বকে ব্যবহারের পাশাপাশি এই গাছ ঘুমাতে সাহায্য করে। এই গাছ রাতে প্রচুর অক্সিজেন নিঃসরণ করে। এলোভেরার জেল ক্ষত স্থান দ্রুত নিরাময় করে।
পেটের চর্বি কমাতে যা খাবেন:
কিছু খাবার আছে, যা রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল কমায়। হৃদরোগ, স্ট্রোক ও আরও কিছু রোগের ঝুঁকিও কমায়। এর বাইরে পানিশূন্যতা রোধ এবং হজমেও উপকার করে। যেমন- টক দই। এটা কিন্তু পেটের চর্বিও ঝরাতে পারে!
টক দই ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ। এটি দেহের বিএমআই ইনডেক্স ঠিক রাখে। সুতরাং, ডায়েটে অতিরিক্ত ক্যালোরি কমাতে সহায়ক এটি।
ওজন কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর যা নিয়ম করে খেতেই হয় সেটা হলো প্রোটিন। টক দই কম শর্করা ও উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার। এতে শরীরের আমিষের চাহিদা মিটলেও ওজন বাড়বে না।
পেটের অতিরিক্ত মেদ কাটাতেও টক দই ভলো ভূমিকা রাখে। আমেরিকান ডায়েট অ্যাসোসিয়েশনের গবেষণাও বলছে, নিয়মিত টক দই খেলে পেটের অতিরিক্ত চর্বি ঝরতে থাকে। ক্যালসিয়ামই এ কাজটা করে। ১০০ গ্রাম টক দইতে আছে ৮০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম।
সকালের নাস্তায় এককাপ দই আর হালকা ফল খান। এতে সারাদিন খিদেবোধ কম হয়। দুপুর ও রাতের খাবারে এক বাটি টক দই রাখুন। ফল বা সবজির রায়তা তৈরিতে টক দই ব্যবহার করুন। চিনিযুক্ত দই এড়িয়ে চলুন। আর সরাসরি টক দই খেতে ইচ্ছে না করলে লাচ্ছি বানিয়ে খেতে পারেন। তবে লবণ যতটা সম্ভব কম দিন।