সিলেট প্রতিনিধি:
বিভিন্ন হোটেল বা অবকাশযাপন কেন্দ্রে হেফাজত নেতাদের লাম্পট্যের ঘটনা এখন সাধারণ ব্যাপার যেন। গত বছর সংগঠনের শীর্ষ নেতা মামুনুল হক বন্ধুর স্ত্রীসহ সাধারণ জনতার হাতে আটকের পর কিছুটা কমে গিয়েছিল এসব ঘটনা। তবে শীতের তীব্রতার সাথে পাল্লা দিয়ে আবারও বাড়তে শুরু করেছে নোংরামি।
এবার অসামাজিক ও অনৈতিক কর্মকান্ডের অপরাধে সিলেট মহানগরীর একটি আবাসিক হোটেল থেকে হেফাজত নেতা মাওলানা আবদুল ওয়াহিদকে হিন্দু ধর্মাবলম্বী এক তরুণীসহ আপত্তিকর অবস্থায় আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, জগন্নাথপুর উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের পাইলগাঁও গ্রামের বাসিন্দা হেফাজত নেতা কথিত মাওলানা আবদুল ওয়াহিদ পরের সম্পদ আত্মসাৎকারী। তার বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে অনেকের জায়গা-জমি দখল করার বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে।
মাওলানা আবদুল ওয়াহিদ স্থানীয় একটি কওমি মাদ্রাসার মুহতামিম ও স্থানীয় স্বাধীনবাজার জামে মসজিদের ইমাম ছিলেন। মাদ্রাসা ও মসজিদের টাকা আত্মাসাৎ করার অপরাধে বেশ অনেকদিন পূর্বে বরখাস্তও হয়েছিলেন। এরপর নারীদের বিদেশে পাঠানোর দালালি ব্যবসায় লেগে যান।
উচ্চ বেতন এবং বিভিন্ন সুবিধার প্রলোভন দিয়ে গরীব অসহায় নারীদের মধ্যপ্রাচ্যে পাঠানোর ধান্দায় লেগে যান। আর এ কাজে কম বয়সী গরীব মেয়েদের টার্গেট করেন। তাদেরকে বিদেশে পাঠানোর নামে ঢাকা, সিলেটসহ বিভিন্ন জায়গায় হোটেলে নিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়েন।
সর্বশেষ গত বুধবার (২৬ জানুয়ারি) সিলেট নগরের একটি আবাসিক হোটেলে একই ইউনিয়নের হাড়গ্রাম এলাকার অনিল দাস (মুচি অনিল) এর মেয়ে লিপি রানী দাসকে নিয়ে অবস্থানকালে মহানগরীর কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের হাতে আটক হন।
আটকের পর তাকে ও অনিল দাসের মেয়ে লিপিকে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরদিন তাদের নন-এফএআর মামলা দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
আটক ও আদালতে প্রেরণের সত্যতা নিশ্চিত করে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী বলেন, অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকায় তাদের আটক করা হয়েছে। পরবতীতে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।