হবিগঞ্জ সংবাদদাতা:
হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচংয়ে ওয়াজ মাহফিল উপলক্ষ্যে জোরপূর্বক চাঁদা ধার্য্য করা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিদ্যমান সংঘর্ষে ওমর আলী নামে এক সাবেক ইউপি সদস্য নিহত হয়েছেন। সংঘর্ষে দুপক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার বিকালে উপজেলার দুর্গমাঞ্চল পৈলারকান্দি গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহত ওমর আলী একই গ্রামের মৃত রাজা মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিবছর পৈলারকান্দি গ্রামবাসী ওয়াজ মাহফিল করে থাকে। এই বছরও ওয়াজ মাহফিল করার প্রস্তুতি নেয়। শুক্রবার জুমার নামাজের পর গ্রামের মসজিদে বসে চাঁদা সংগ্রহের একটি তালিকা তৈরি করা হয়। যাতে লিটন নামের এক দরিদ্র কৃষকের ওপর ৫ শত টাকা চাঁদা ধার্য্য করা হয়।
তাৎক্ষণিক প্রতিবাদে উপস্থিত লিটন জানিয়ে দেন, জোর করে এভাবে চাপিয়ে দিলে সেটা ন্যায্য হবে না। সবার সামর্থ্য হয় না সব সময় এভাবে চাঁদা দেয়ার। তাছাড়া এই মুহুর্তে ৫ শত টাকা চাঁদা দেয়ার সামর্থ্য নেই তার।
এ নিয়ে ওমর আলী নামের আয়োজকদের একজনের সঙ্গে মসজিদে বসেই লিটনের ব্যাপক তর্ক বিতর্ক হয়। উপস্থিত অন্যদের হস্তক্ষেপে তখন সেটা থামানো হয়। লিটন তখন এভাবে জোরপূর্বক চাঁদা ধার্য্য করার সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে সভা থেকে বেরিয়ে আসেন।
পরে বিকেলের দিকে লিটন ও ওমর আলীর ছেলে বাবলুর মধ্যে এই বিতর্ক কেন্দ্র করে আবারও বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংষর্ঘে লিপ্ত হন। সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হন। এ সময় হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে সাবেক ইউপি সদস্য ওমর আলী মারা যান বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সানাউল হক হারিছ জানান, ওমর আলী মেম্বার নিহতের ঘটনার পর প্রতিপক্ষের একটি দোকানের জিনিসপত্র লুটপাটসহ অন্তত ২০টি ঘরবাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বানিয়াচং থানার ওসি মোহাম্মদ রাশেদ মোবারক বলেন, পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত।